কুমিল্লার ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ ছাত্রী সাদিয়া তাসনিম(১৯) নামের এক যুবতীকে আত্নহ্যার প্ররোচনার অভিযোগে তার প্রেমিক রাফিউল আলম নাঈম (২০) নামে এক যুবককে অভিযুক্ত করে কোতয়ালি মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামী নাঈম কুমিল্লা সদর উপজেলার জালুয়াপাড়া গ্রামের আলমগীর হোসেন এর ছেলে।
একই সদর উপজেলার চাঁনপুর নিবাসী মৃত আলতাফ হোসেন এর ছেলে এবং সাদিয়া তাসনিম এর পিতা খোরশেদ আলম বাদী হয়ে এ মামলা করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায় সাদিয়া এবং নাঈম দুইজন-ই সহপাঠি ছিলেন, সেই সুবাদেই তাদের পরিচয় এবং আস্তে আস্তে তারা প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পরে। সাদিয়া’র পরিবারের ভাষ্য মতে জানা যায় নাঈম বিভিন্ন সময় তাদের অন্তরঙ্গ মুহুর্তের ছবি তার মোবাইল ফোনে ধারণ করতো। সম্পর্কের এক পর্যায়ে নাঈম বিভিন্ন বাহানা দিয়ে সাদিয়ার কাছ থেকে টাকা নেয়া শুরু করে, দিন দিন তার চাহিদা বাড়তে থাকে এবং এক পর্যায়ে সাদিয়া তার চাহিদামতো অর্থ না দিতে পারায় সাদিয়া’কে তাদের অত্নরঙ্গ মুহুর্তের ছবি ও ভিডিও ভাইরাল করে দিবে বলে হুমকি দেয়।
পরবর্তীতে সাদিয়া তার কথা মতো টাকা না দিতে পারায় ঐ ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেয় এবং পরে তা ভাইরাল হয়। উক্ত পরিস্থিতিতে পরিবার , সমাজ এবং সহপাঠিরা তাকে বিভিন্ন কটু কথা বলতে থাকে যা তাকে মানষিকভাবে চাপে ফেলে। এক পর্যায়ে মানষিক চাপ সহ্য করতে না পেরে বিগত ১ লা এপ্রিল ২০২২ তারিখে তার নিজ বাসায় গলায় ফাস দিয়ে আত্নহত্যা করে, তথ্য সূত্রে জানা যায়
মৃত্যুকালীন সময়ে সে একটি সুইসাইড নোট লিখে যায়।
উক্ত ঘটনায় মৃত সাদিয়া তাসনিম এর বাবা বাদি হয়ে ৩ এপ্রিল ২০২২ তারিখে কোতয়ালী মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এ ব্যপারে কোতয়ালী মডেল থানার এস আই জনাব আরিফুল ইসলাম এর সাথে কথা বললে উনি জানান অভিযোগটি আমলে নিয়ে তারা মামলাটি খুবই গুরুত্বের সাথে দেখছেন। ইতোমধ্যে তারা আসামীকে ধরার জন্য আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করেছেন এবং যতো তারাতারি সম্ভব আসামীকে আইনের আওতায় আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।